অস্ট্রেলিয়া: সংকটের মুহূর্তে বিদেশে ছুটি কাটানোয় সমালোচনা, ক্ষমা প্রার্থনা প্রধানমন্ত্রীর

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব


দাও দাও করে দাবানল জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ায়। ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি। একাধিক রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির ঘটনাও ঘটেছে। পুড়ে গেছে লাখ লাখ একর জমি, ধ্বংস হয়ে গেছে বহু স্থাপনা। পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙেছে তাপমাত্রা। দেশজুড়ে বইছে তাপদাহ। প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এমন ছুটি যাপনে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। সিডনীতে তার বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে জনগণ। সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, আগেভাগেই ছুটি শেষ করে দেশে ফিরবেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার দাবানল পরিস্থিতি দিন দিন আরো বেগতিক হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিডনীর কাছাকাছি দাবানল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রাণ হারান দুই দমকলকর্মী। এর আগের দিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ দিন। মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারি করেছে নর্থ সাউথ ওয়েলস (এনএসএডব্লিউ) অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষ। এমতাবস্থায় দেশে মরিসনের অনুপস্থিতি তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

সমালোচনার মুখে শুক্রবার স্থানীয় এক রেডিও স্টেশনকে নিজের অবস্থান জানান মরিসন। এর আগে তিনি কোথায় ছুটি কাটাতে গেছেন সে স¤পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। রেডিও স্টেশন টু জিবিকে মরিসন জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, দেশের ভয়ংকর দাবানলের মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে আমার ছুটি কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের ক্ষোভান্বিত করার জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত দাবানলে অস্ট্রেলিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন আট জন। ধ্বংস হয়ে গেছে সাত শতাধিক বাড়ি। পুড়ে গেছে কয়েক লাখ হেক্টর জমি। দেশজুড়ে বিরাজ করছে প্রকট তাপদাহ। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সংকট আরো তীব্র হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *