আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বড় ধরনের চমক আসছে। আজ থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী কাউন্সিলের শেষ দিনে এ চমক দেখা যাবে। দলটির সভাপতির পদ বাদ দিয়ে বাকি পদগুলোতে আনা হতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন। বেশ কয়েকটি পদে বড় ধরনের চমক থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিশেষ করে তরুন নেতৃত্বকে সামনে আনা হবে, বাদ যাবেন অনেক সিনিয়র নেতা, ৩০ ভাগ নারী নেতৃত্ব যুক্ত হবে আওয়ামী লীগে, তৃণমূল থেকে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের আনা হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে,বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে দেখা যেতে পারে গুরুত্বপুর্ন পদে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আবার কাউকে কাউকে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় তিরস্কার করেছেন। আবার দলকে ব্যবহার করে যারা ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করেছেন তাদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সবমিলিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। এ কমিটি নিয়েই দেশের রাজনীতিতে নতুন করে পথ চলতে চায় দলটি। উদযাপন করতে চায় মুজিব বর্ষ। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসছে কি না, এটাই এখন মূল আলোচনার বিষয়। এ পদে পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত আছে কি না, দলে নতুন কে আসছেন, কারা বাদ পড়ছেন এসব বিষয়ে ধারণা পেতে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে যোগাযোগ রাখছেন। শেখ হাসিনা রানিংমেট হিসেবে কাকে বেছে নেবেন এই চমক দেখার অপেক্ষায় সংগঠনটির তৃণমূলের লাখ লাখ নেতাকর্মীসহ দেশবাসী। এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসবে কিনা এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী আসলে কী চান? কাকে চান? নতুন কাউন্সিল থেকে যে নেতৃত্ব আসবে এই নেতৃত্ব তিনি কোন মডেলে রিকাস্ট করবেন এবং কীভাবে সাজাবেন তিনি নিজেই সেটি ঠিক করবেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এজন্য ২১ তারিখ বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে নেতৃত্বে বড় চমক থাকবে তৃণমুল থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আনা বেশ কয়েক নেতা। এ তালিকায় রয়েছেন-গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজমত উল্লাহ খান, খুলনার মিজানুর রহমান, সিলেটের কামরান, ময়মনসিংহের নাজিমউদ্দিন। তরুন হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আনা হতে পারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েক ক্লিন ইমেজের নেতাকে। এর মধ্যে আছে, ছাত্রলীগের মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী রোটন, মাহমুদ হাসান রিপন, বাহাদুর ব্যাপারী, অজয় কর খোকন, যুবলীগের মুজিবুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ। এছাড়া সাবেক সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের বোনকেও দেখা যেতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোন পদে।
প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান: আজ বিকেল ৩ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ২৫ মিনিটের একটি উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। সেখানে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য। এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’। সম্মেলনে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে কাউন্সিলরদের তালিকা এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ডেলিগেট কার্ড, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, স্বেচ্ছাসেবক ইউনিফর্মসহ সম্মেলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তৈরির কাজও শেষ। সম্মেলনের ঘোষণাপত্রও প্রস্তুত হয়েছে। অন্যদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে নির্বিঘ্নে করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন। এবার বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের মূল মঞ্চ এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে। ১০২ ফুট দীর্ঘ, ৪০ ফুট প্রস্থ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে চার সহযোগী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলন। সেই একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন। তবে মূল মঞ্চ এক হলেও সেটাকে বিশেষ পরিকল্পনায় সাজানো হয়েছে। সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের প্রবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচটি গেট রয়েছে। একটি গেট ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত। ৮১ সদস্যের মধ্যে চারটি পদ শূন্য থাকায় মূল মঞ্চে চেয়ার থাকবে ৭৭টি। মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের জন্য চেয়ার থাকবে ৩০ হাজার। এছাড়া সমপ্রসারিত মঞ্চে ১৫ হাজার চেয়ার দেয়া হবে। ২৮টি এলইডি পর্দায় দেখানো হবে সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠান। সম্মেলনে প্রচার উপকমিটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার একটি কার্ড থাকবে। একই সঙ্গে থাকবে দুটি সিডি। একটিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন এবং অন্যটিতে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের পাটের ব্যাগে এগুলোর সঙ্গে একটি প্যাড ও একটি কলম দেয়া হবে। সম্মেলন উপলক্ষে ওয়েবপেজ উদ্বোধন করেছে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি। ওয়েবপেজের ভিডিও অংশে সম্মেলন লাইভ করা হবে। সম্মেলন উপলক্ষে ১০০ চিকিৎসক নিয়ে ১২টির মতো প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রস্তুত করছে স্বাস্থ্য উপকমিটি। দুপুরে ৫০ হাজার নেতাকর্মীকে খাবার দেয়া হবে। খাবারে মোরগ পোলাওয়ের সঙ্গে ডিম, ফিরনি ও পানির বোতল থাকবে। আন্তর্জাতিক উপকমিটির পক্ষ থেকে সম্মেলন স্থানে কূটনীতিকদের জন্য বিশেষ স্টল স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি সম্মেলনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত: এদিকে কাউন্সিল উপলক্ষ্যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সমাপনী বৈঠকে এ কমিশন গঠন করা হয়। পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদনসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়। তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অপর দুই সদস্য হলেন-উপদেষ্টা সদস্য ড. সাইদুর রহমান ও ড. মশিউর রহমান। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৫২(ক) ধারা মোতাবেক কমিটি গঠন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। সভায় আলোচিত সহসম্পাদক পদ বাতিলের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। আজ কাউন্সিল অধিবেশনে তা উত্থাপন করা হবে। সেখানে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে পাস হলে পদটি গঠনতন্ত্র থেকে বাতিল হয়ে যাবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে দুটি বিষয় নতুন সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হল-বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন। এছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪১ সদস্য থেকে বাড়িয়ে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট করা হয়েছে। মৎস্যজীবী লীগকে সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দেয়া নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এবারের কাউন্সিলে বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য পৃথক আসন ও ‘ইরেজি ভাষা অনুবাদক হেডফোন’ থাকছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতির জন্য বরাদ্দ (কো-অপ) ১০০ কাউন্সিলর অনুমোদন করা হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মর্যাদা দিয়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। শনিবার সকালে কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক মুলতবি থাকবে। এর মধ্যে প্রয়োজনে যে কোনো সময় মুলতবি সভা ডাকতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
রোজগার্ডেন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান: ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন পুরনো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির-এর রোজ গার্ডেনের বাসভবনে একটি রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতাকর্মীরা সংগঠন থেকে বেরিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক। ১৯৬৬ সালের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির একচ্ছত্র নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক। ‘৬৯-এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির যে জাগরণ ও বিজয় সূচিত হয়, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগ এবং এই আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর নেতৃত্ব শূন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ। এরপর দলের মধ্যে ভাঙনও দেখা দেয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়। তিন দশক ধরে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। এই সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি চার বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে দলটি। আবার ৬৭ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ বছরই আওয়ামী লীগকে থাকতে হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছর এবং ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচ বছর, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটা সুসংহত হয়ে বিএনপির জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে সফলতার পরিচয় দিয়েছিল দলটি। কিন্তু এই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আবারও নতুন সংকটের মুখে পড়ে যায় দলটি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির অসংখ্য নেতা গ্রেপ্তার এবং একাংশের সংস্কার তৎপরতায় কিছুটা সংকটে পড়ে দলীয় কার্যক্রম। তবে সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের শত প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সুখী,সমৃদ্ধ ‘ডিজটাল বাংলাদেশ’ গড়াসহ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে দলটি।