চুয়াডাঙ্গা: আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক বলেন, গতকাল বুধবার জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ৪ ডিগ্রি কমে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আকস্মিক তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তর দিক থেকে আসা বাতাসের প্রভাবে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে দেখা যায়।
বড়বাজার এলাকার নৈশপ্রহরী আলমাছ হোসেন বলেন, বুধবার সকাল থেকেই শীত অনুভূত হতে থাকে। তবে ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে হাড়কাঁপানো শীতে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় ৩০০টি কম্বল হস্তান্তর করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশুদের শীতজনিত রোগ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে চলতি সপ্তাহে অন্তত চার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এখনো ২২ হাজার কম্বল মজুত আছে। যা শিগগিরই হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।