বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ নিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, খালেদা জিয়া আগে থেকেই অনেক অসুস্থ ছিলেন এবং তাকে কারাবন্দী করার পর তিনি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সরকার তার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সচেষ্ট নয় এমন অভিযোগের কথাও বলা হয়েছে সেখানে।
বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ চিকিৎসা ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক এই অধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার বিশেষ চিকিৎসার কথা বলেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও তাকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এটি কারাবন্দীদের চিকিৎসা নিয়ে জাতিসংঘের মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী, যেসকল কারাবন্দীর বিশেষ চিকিৎসা কিংবা সার্জারি প্রয়োজন হবে তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
তবে খালেদা জিয়ার পরিবার অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছে, সরকার তাদের কাছে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিধান অনুযায়ী, সকল কারাবন্দীর সুচিকিৎসার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। একইসঙ্গে কারাবন্দীরা যাতে সমাজে প্রচলিত চিকিৎসার সমমানের চিকিৎসা পায় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার বয়স এখন ৭৪ বছর। বিএনপির অভিযোগ, কারাগারে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তিনি। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দেয়া বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলছে, এই পরিস্থিতিতে তার চিকিৎসায় জাতিসংঘ আইন নেলসন ম্যান্ডেলা বিধি মেনে চলতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।