কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ৩২ জন নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়াদের ২১ জন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত। আর ১১ জনকে নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত দুই পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্কিত নেতাদের নামসহ তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদেরকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
অব্যাহতি পাওয়া বিতর্কিত ২১ নেতা হলেন সহ-সভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভির, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথী, মুনমুন নাহার বৈশাখী, আবু সাঈদ (সাস্ট) রুহুল আমিন, রাকিব উনি, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন তপু; দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব; উপ-দপ্তর সম্পাদক মমিন শাহরিয়ার ও মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সী; ধর্ম সম্পাদক তাজ উদ্দীন, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক বি. এম, লিপি আক্তার ও আফরিন লাবনী এবং সহ-সম্পাদক সামিয়া সরকার ও রনি চৌধুরী।
আর প্রথম তালিকায় ১১ জনের নাম রয়েছে যারা নিজেরা ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস. এম তৌফিকুল হাসান সাগর, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বি এম শাহরীয়ার হাসান, হাফিজুর রহমান, এস এম হাসান আতিক, স্বাস্থ্য সম্পাদক শাহরিয়ার ফেরদৌস; উপ-স্বাস্থ্য সম্পাদক রাতুল শিকদার ও শাফিউল সজিব; উপ-প্রচার সম্পাদক সিজার আরেফিন শাওন, উপ-পাঠাগার সম্পাদক রুশী চৌধুরী এবং সহ-সম্পাদক আঞ্জুমানারা অনু।
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দুটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে যাঁরা নিজেরা বিবাহ, বয়সোত্তীর্ণ বা চাকরিজীবী হওয়ায় স্বেচ্ছায় ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন; আর অন্য তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে বিবাহ, বয়সোত্তীর্ণ বা চাকরিজীবী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জয় আরো বলেন, ৩২ জনের শূন্য পদে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।