বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজাকারদের তালিকা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি তো একটাই- সঠিক তালিকা করা। আর সেটা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধারা করতে পারেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দলই সেটা করতে পারবে।
সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ আমরা করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য। আজকে ৪৯ বছর পরে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়- আমাদের সেই চেতনাগুলোকে হরণ করা হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে মানুষের স্বপ্নগুলোকে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় এই সরকার। তারা এক দলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার তার নিজের রাজনৈতিক প্রয়োজনে হীন উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন তালিকা তৈরি করেছে। এটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার না করে এই এতদিন পরে, ৪৯ বছর পরে রাজাকারের তালিকা কতটুকু সঠিক হয়েছে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সমস্ত শহীদরা আত্মত্যাগ করেছে তাদের প্রতি। আমরা আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে- যাকে অন্যায় ভাবে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এইখানে আমরা শপথ নিয়েছি- জনগণকে সংগঠিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন সহ-ছাত্রদল, যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলের বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।