ঢাকা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে আজ রবিবার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকাটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার থানাওয়ারী তালিকা দিয়ে এটি শুরু হয়েছে। ৫২০ জনের এই তালিকাকে বলা হয়েছে ‘আল-বদর তালিকা’। এর পর আছে ঢাকা সদর দক্ষিণের ৬০৪ জনের তালিকা। থানাভিত্তিক এই তালিকার প্রথমেই রয়েছে উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের নাম। এর পর আছে দালালীর নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তাদের নাম। এরপর আছে শান্তি কমিটির যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের নাম। এর পর রয়েছে অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায় থাকা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ৫৮ জনের নাম।
অনেকগুলো অসংগতিও লক্ষ্য করা গেছে। ‘স্থানীয় পুলিশের তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে’, ‘তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত’, ‘মামলা প্রত্যাহার ও অব্যাহতি’, ‘জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশ অনুসারে মুক্তি পেয়েছেন’, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্তৃক অভিযোগ’ প্রভৃতি মন্তব্য লেখা ব্যক্তিদের বিপুল সংখ্যক নামও এতে রয়েছে।
অসংগতি থাকা কিছু নামের তালিকা:
চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম দুই পৃষ্ঠার মধ্যেই চারটি ঘটনা পাওয়া গেছে।
নোয়াখালীর হাজী আব্দুর রব চেয়ারম্যান, পিতা- হাজী আব্দুল করিম এই নামের সঙ্গে মন্তব্য রয়েছে স্থানীয় পুলিশের তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত। আইয়ুব হোসেন মন্ডল, আলতাফ হোসেন, মহেশখালী থানার মামলা নং-১/০৮/১৯৭২-এর মন্তব্যের ঘরে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারপরের পৃষ্ঠায় রয়েছে মো. শাজাহান ভূইয়া পিতা- নূর বকশ ভূইয়া, গ্রাম- মেটাংঘর, থানা-পান্দুঘর, মুরাদনগর, কুমিল্লা এই নামের মন্তব্যের ঘরে রয়েছে পুলিশের তদন্তের অভিযোগের প্রমাণ মিলেনি। মো. মকবুল আহমেদ, পার্টনার মেসার্স ইস্টার্ন শিপইয়ার্ড এন্ড ট্রেডার্স, ৯৭ স্ট্রান্ড রোড, ডাবল মুরিং- এর মন্তব্যের ঘরে পুলিশের তদন্তে প্রমাণ মিলেনি উল্লেখ করা আছে। এর পরও এ দুটি নামও তালিকায় রয়েছে।