আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি আজকে অপশক্তিকে উসকানি দিতে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘তোমাদের যা বলার ছিল, বলছে তা আজ বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি আজকে এই অপশক্তিকে উসকানি দিচ্ছে, ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে সজাগ থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি, অশুভ শক্তি একাত্তরের বর্বর হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছিল। তাদের দোসরদের প্রেতাত্মারা আজও বাংলাদেশে আছে। তাদের সেই অনুসারীরা পাকিস্তানী চেতনার মানসিকতায় আজও বাংলার মাটিতে বেঁচে আছে। এরা ষড়যন্ত্র করছে। এদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, এই দেশে যদি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতার মঞ্চে না আসতেন, তাহলে কী হতো? তিনি যদি ক্ষমতায় না আসতেন তাহলে এদেশে কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো? এদেশে কি বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচার হতো? জেল হত্যার বিচার হতো?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই জাতিকে কলঙ্কমুক্ত ও পাপমুক্ত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বারবার মনে করতে হবে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই স্বাধীনতার মূল্যবোধ বেঁচে আছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার পুষ্পিত আদর্শ আজকে বেঁচে আছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এই দেশে এখনও আশার আলো আছে, স্বপ্ন আছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এই দেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।
সভার শুরুতে শোকাবহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদ, জেল খানায় নিহত জাতীয় চার নেতা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাব মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সূত্র : বাসস