রাণীশংকৈল: ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আসা মেসো শ্বশুর সত্য বর্ম্মন ও তার ছেলে মতিন বর্ম্মনকে দেখতে কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁকে চোখ রাখতে রাণীশংকৈলের সুন্দরী মোড়ের রাজা দিঘির রবিন্দ্র রায় স্ত্রীকে নিয়ে সকাল থেকেই কাঁটাতারে হাত রেখে অপেক্ষা করছে। হঠাৎ চিৎকারে বুঝতে বাকী নেই ভারত থেকে আসা স্বজনের সাক্ষাৎ হয়েছে।
প্রতি বছর পাথরকালী পূজা উপলক্ষে এ মিলন মেলা রাণীশংকৈলের আংশিক, হরিপুর ও কিছু অংশ পীরগঞ্জ উপজেলা মিলে অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের নারগাঁও ও মাকার হাট সীমান্তে এ মেলা বসে।
বাংলাদেশের স্বজনদের চোখের দেখা দেখতে ৩৪৫ ও ৩৪৬ নম্বর পিলারের আশেপাশে ছুটে আসেন অনেকেই। কাঁটাতারে হাত রেখে চলে ইশারা। অনেক কথা বলার থাকলেও হয় না বলা। ভিড়ে প্রচণ্ড গুণ গুণ শব্দ। এ ভাবেই প্রতিবছর এ সীমান্তে পাথরকালী মেলা বসে। প্রসঙ্গত, দেশ ভাগের পর আত্মীয়-স্বজনরা দুদেশে ভাগ হয়ে পড়ে। সারা বছর কেউ কারো সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। অপেক্ষায় থাকেন ‘পাথর কালি মেলা’র জন্য।
এদিন প্রিয়জনকে একনজর দেখার জন্য শত শত মানুষ ছুটে আসে হরিপুর, কান্দাইল সীমান্তে। দুই দেশের বিজিবি-বিএসএফ’র সহায়তায় কাঁটাতারের বেড়া এলাকায় আগত লোকজনকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। শুরু হয় মিলনমেলা, এক নজর স্বজন দেখার জন্য প্রতীক্ষা!