ডেস্ক | মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছেন গাম্বিয়ার টিম। আর হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ভাবলেশহীন বসে আছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি। আজ হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো নৃশংসতার একের পর এক অভিযোগ, তথ্য প্রমাণ তুলে ধরছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই কোর্টরুমের মধ্যে সুচি বসে চুপচাপ। শুনানি শুরুর আগে গাড়িবহর নিয়ে হেগে অবস্থিত পিস প্যালেসে হাজির হন সুচি। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকরা। তারা চিৎকার করে তার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে মারছিলেন। কিন্তু কোনো প্রশ্নের উত্তর দিলেন না সুচি।
আর আদালতের বাইরে সমবেত হয়েছেন বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা। তারা নির্যাতিতদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করছেন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে যে বাধ্যবাধকতা আছে তা লঙ্ঘন করেছে গাম্বিয়ার এমন অভিযোগে শুনানি শুরু হয়। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবু বাকার তামবাদোউ। তিনি বলেন, পরো গাম্বিয়াবাসীর চাওয়া হলো, কা-জ্ঞানহীন এই হত্যা বন্ধ করুক মিয়ানমার। এই সব বর্বরতা এবং নৃশংসতা, যা আমাদেরকে হতবাক করেছে এবং আমাদের সমন্বিত বিবেককে আহত করছে অব্যাহতভাবে তা বন্ধ করতে হবে। নিজেদের লোকদের বিরুদ্ধে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।