আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনায় গাম্বিয়াকে সর্বোতভাবে সহায়তা করবে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। এক যুক্ত বিবৃতিতে সোমবার রাতে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানায় কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অফিস। অটোয়া থেকে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়- কানাডা ও নেদারল্যান্ডস দ্য হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে গাম্বিয়ার বিচার প্রার্থনার আবেদনকে স্বাগত জানায়। আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতাকে সমুন্নত রাখা এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি ঠেকাতে দেশ দু’টি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যুগ্মভাবে তারা সম্ভাব্য সব ধরণের বিকল্প খুঁজবে এবং গাম্বিয়ার উদ্যোগে অব্যাহতভাবে সমর্থন ও সহায়তা দিয়ে যাবে। গণহত্যা প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনে গণহত্যা সংক্রান্ত অপরাধ ঠেকানো এবং এর জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মানবতার প্রতি দায় থেকে কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে এবং এ জন্য তাদের যত উদ্বেগ।
২০১৭ সালে আগেস্টে রাখাইনে বর্মী সেনা এবং তাদের দোসরদের গণহত্যা, গণধর্ষণসহ বর্বর নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। তারা এখনও বাংলাদেশেই রয়েছে।
রাখাইনে বছরের পর বছর ধরে বর্বর নির্যাতনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে জাতিগতভাবে নিধনের চেষ্টা চালাচ্ছে মিয়ানমার শাসক গোষ্ঠি। বিভিন্ন রিপোর্টে তাদের সেই বর্বরতার প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেখানে গণহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। আজ সেই গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে এই প্রথম বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে মিয়ানমার। গত ১১ ই নভেম্বর গাম্বিয়া দেশটির বিরুদ্ধে আদালতে বিচার প্রার্থনা করে। ন্যায় বিচার নিশ্চিতে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস গাম্বিয়াকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।