কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুটি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে অন্তত একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাতে টেকনাফের নয়াপাড়া এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে কক্সবাজারের পুলিশ জানিয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে দুটি গ্রুপ সেখানে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। গ্রুপ দুটির সদস্যরা পুরাতন রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত, যারা ১৯৯২ সালের পরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
বিবদমান গ্রুপ দুটির মধ্যে একটি ‘ছলিম গ্রুপ’ এবং অপরটি ‘জাকির গ্রুপ’।
উভয় গ্রুপের সদস্যরাই ক্যাম্পে বসবাস করেনা এবং পাহাড়ে লুকিয়ে থাকে বলে পুলিশ দাবি করছে। মাঝে মধ্যেই তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেবার চেষ্টা করে। উভয় গ্রুপ চেষ্টা করছে নতুন রোহিঙ্গাদের মাঝে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে। এ দুটি গ্রুপ ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় আছে। নবাগত রোহিঙ্গাদের নিজেদের আয়ত্তে রাখার জন্য উভয় গ্রুপ এখন তৎপরতা চালাচ্ছে। তার জেরেই এই গোলাগুলি।
রোহিঙ্গাদের এই গ্রুপ দুটি ইয়াবা চোরাচালান, মানব পাচার এবং ডাকাতি সহ নানা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত।
গতকাল শনিবার রাতে নয়াপাড়া ক্যাম্পে ছলিম গ্রুপের অনুসারীরা সামশুল নামে এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে। এ খবর পেয়ে জকির গ্রুপের অনুসারীরা অস্ত্র নিয়ে সেখানে হাজির হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই এক রোহিঙ্গা মারা যায় এবং আরেকজন গুরুতর আহত হয় বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।