ব্যবসায়ীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যাংকগুলোর সুদের হার এক অঙ্কে নামানোর ওপর তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ১২ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। এ সময় তার কথাবার্তা ব্যবসায়ীদের পক্ষে যাচ্ছে– এ কথা স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও একজন ব্যবসায়ী। তার জন্য আমার কথাবার্তা ব্যবসায়ীদের মতন। মন্ত্রীর মতো ভাবটাব এখনও আসে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী সিরামিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন।
টিপু মুনশি বলেন, রাজস্ব আদায়ে আমাদের সঙ্গেও এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) বসা দরকার। ট্যারিফ কমিশন বলে কিছু আছে, সেটি ভাবাই হয় না। ভবিষ্যতে রাজস্ব আদায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও এনবিআরকে কাজ করতে হবে বলেও তিনি জানান।
টিপু মুনশি বলেন, ১২ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। এত সুদ হলে একটার পর একটা ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়বে। এটা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকঋণে সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন। এ জন্য ব্যাংকারদের নানা সুবিধা দেয়া হলো। ব্যাংকাররা সুবিধাটা পুরোপুরি নিল। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও সুদহার এক অঙ্কে আনল না।
তিনি আরও বলেন, ‘সুদের হার কমার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীও অনেকবার তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো প্রাইভেট ব্যাংক সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে আনেনি। তারা সুবিধা নিল, প্রধানমন্ত্রী বারবার বললেন– তার পরও কাজের কাজের কিছুই হলো না।
‘আমি অর্থমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকি, আর অর্থমন্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে না আনলে কোনো ব্যবসা করা যাবে না। অন্তত জেনুইন ব্যবসা করা যাবে না। অন্য কিছু করা গেলে যাবে’-যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।