গ্রিসে ৪৭৮ জন যাত্রী বহনকারী ফেরিতে আগুন লাগা পর এখনো সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে দুই শ’ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো প্রায় তিন শ’ যাত্রী উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার ভোরে এ ঘটনার পর সাগরে ঝাঁপ দেয়ায় একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। যাত্রীদেরকে উদ্ধারে আন্তর্জাতিক উদ্ধার অভিযান চলছে।
সূত্র জানায়, ১৯০ জনের মত যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরো প্রায় তিন শ’ মানুষ আছে উদ্ধারের অপেক্ষায় আছে।
নরম্যান আটলান্টিক নামের ইতালিয়ান জলযানটি গ্রিসের পাত্রাস থেকে ইতালির আনকোনাতে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনার শিকার হয়।
ফেরিতে আটকে যাওয়া যাত্রীদেরকে উদ্ধার করতে এখন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে গ্রিস, ইতালি ও আলবেনিয়া।
-হেলিকপ্টার ও জাহাজ দিয়ে যাত্রীদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ভীষণভাবে ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
একদিকে রাতের অন্ধকার। অন্যদিকে, সাগরের উত্তাল ঢেউ, প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। ফলে ফেরির চারপাশ ভালোভাবে দেখাও যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা।Grees-Fare-01
গ্রিস কোস্টগার্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভীষণ ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।
ইতালিয়ান গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফেরিটির নিচের ডেক যেখানে গাড়ি রাখা হয় সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যায়নি।
দুর্ঘটনায় পড়া ফেরিতে থাকা এক যাত্রী গ্রিসের মেগা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ফেরির নিচের ডেকগুলোর একটিতে যেখানে লাইফবোটগুলো রাখা সেখানে আগুনের তাপ এতই বেশি যে, উত্তাপে তাদের পায়ের জুতো ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে।
ফেরির বেশিরভাগ যাত্রীই গ্রিসের নাগরিক। এছাড়া ইতালি, আলবেনিয়া, তুরস্ক ও জার্মানিসহ আরো নানাদেশে নাগরিক আছে বলেও জানা গেছে।