ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ রিপোর্ট (প্রতিবেদন) জমা দিতে পারেনি। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নতুন সময়সীমা নির্ধারন করেছেন আদালত। এর পরদিন ১২ই ডিসেম্বর জামিন শুনানি হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত। এদিকে খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এজলাসে অবস্থান করছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন।
আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত না হওয়ায় সময় আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১২ই ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে ওইদিন পরবর্তী শুনানীর দিন নির্ধারণ করেন।
এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বারবার জামিনের কথা বলতে থাকেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তাদের কথায় কান দেননি। এ সময় দু’পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে অন্যান্য বিচারপতিরা এজলাস থেকে বের হয়ে যান। তবে খালেদার জামিন না হওয়ায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এখনো এজলাসে অবস্থান করছেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে জামিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ শতাধিক আইনজীবীরা। তরুণ আইনজীবীদের দাবি, তারা খালেদার জামিন না নিয়ে এজলাস ত্যাগ করবেন না। প্রয়োজনে তারা সারাদিন অবস্থান করবেন এজলাসে।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন, দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আওয়ামীপন্থি আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এন আমিন উদ্দিন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু সহ অন্য আইনজীবীরা।