ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা ছাত্রলীগের ভয়েই অর্ধেক শেষ। আমরা যদি নামি কি অবস্থা হইবো বুঝতে পারছেন।’
বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘হুঙ্কার দিয়েন না, হুংকার দিয়েন না, ম্যাডাম। বয়স হইয়া গেছে। শুনতে শুনতে কান-ঝালাপালা হইয়া গেছে।’
সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হরতালবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে তারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে হরতাল বিরোধী একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি রাজধানীর জিপিও-পল্টন মোড় হয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সাংবাদিকদের অনুরোধ করে মায়া বলেন,‘খালেদা জিয়া আর এই পক পক ফখরুল। এদের তিনটা প্রোগামে আপনারা ক্যামেরা নিয়ে যাইয়েন না। তারপর যদি বিএনপির কোন খোঁজখবর থাকে।’
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘এই যে ক্যামেরাগুলি ঠিক মতো ধরেন। এই ক্যামেরাগুলিই কিন্তু খালেদা জিয়ারে বাঁচিয়ে রেখেছে। না হলে হ্যারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাইত না।’
‘হরতালই হল খালেদা জিয়ার করুণ পরিণতি জন্য দায়ী’ – এ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ‘এই হরতাল হরতাল কইতে কইতে তিনি একদিন একদম নিঃশেষ হইয়া যাইবেন। মানুষ এখন তার কথায় কান দেয় না। কেন কান দেবে বলেন। বোমা মারবেন, বাসে আগুন দিবেন, এগুলো করে কী মানুষের খেদমত করতে পারবেন ।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি তো ডাইনী, মানুষ খেকো। মানুষ খান আপনি। মানুষের রক্ত ছাড়া ভালো আপনার লাগে না। আজকেও একটা মানুষ মারা গেলো আপনার হাতে। কালকে তিনজন নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমা মারছেন। আপনি যদি সত্যিকার নেত্রী হয়ে থাকেন ওই বার্ণ ইউনিটে যান, তার পাশে গিয়ে দেখেন কিভাবে কাতরাচ্ছেন।’
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং জোটের চেয়ারম্যান আবদুল হক সবুজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস ও সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুজ্জামান শেখর, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন, সহ-দফতর সম্পাদক জামাল উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে না দেওয়া, বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।