ডেস্ক | ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে সারা দেশে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘শনিবাররাতে শ্রম অধিদফতরে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে চলমান নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের (শনিবার) সভায় মূল দাবিটি ছিল খাদ্যভাতা। সভায় মালিকদের আগামী মার্চের মধ্যে খাদ্যভাতা দেয়ার আশ্বাসে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। অন্যান্য দাবিগুলোর বিষয়ে গত বুধবারের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।’ শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক একে এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, মালিক প্রতিনিধিসহ অন্যান্য শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদাবাজি বন্ধ, বর্ধিত বেতন, খাদ্যভাতা দেয়াসহ ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত (১২টার পর) থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেয় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। ঐ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নৌপরিবহন খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেবেন মালিক। এটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না তা তদারকি করবে নৌপরিবহন অধিদফতর।
বৈঠকে নৌপরিবহন শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠনের বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালককে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন নেতাদের তাদের শনিবার থেকে আহুত ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। পরে বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
ওইদিন শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়েও সভা করে ফেডারেশন। সেখানে দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।