টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশে। টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, ‘সোমবার টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ১শ’ ৩ দশমিক ১৭১ মেট্রিক টন (প্রায় ৩০ হাজার মণ) পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
জানা যায়, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজগুলো টেকনাফ স্থলবন্দরে খালাস হওয়ার পর ট্রাক ভর্তি করে সেগুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ আড়তে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে একাধিক হাত বদল হয়ে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তবে অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেঁয়াজ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সূত্র জানায়, এখনো বন্দরে এক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে খালাসের অপেক্ষায় ট্রলারগুলো নোঙর করা আছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আরো কয়েকশ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভর্তি একাধিক ট্রলার স্থলবন্দরের পথে রওনা দিয়েছে।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা দাবি করেন, ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। তাই দাম স্বাভাবিকভাবে আগের তুলনায় একটু বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমাতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘এখনো আগের মতো মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। আমরা আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’