শারমিন সরকার, ঢাকা: সুশোভিত শিউলি ঝরা সকাল দিয়ে একমাস আগেই বিদায় নিয়েছে শরৎ। হেমন্তের শিশিরবিন্দুতে নুইয়ে পড়া শুভ্র-সফেদ কাশফুলের রঙও এখন ধূসর। গাছের কচি পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে মিষ্টি রোদ।
মেঘমুক্ত সুনীল আকাশটাও যেন ডাকছে হাতছানি দিয়ে। বিকেল পাঁচটা গড়ালেই পশ্চিমে ঢলে পড়ছে সূর্য। গোধূলি লগ্নের রক্তিম সূর্য সবাইকে রোমাঞ্চিত করে জল দিয়েই নামিয়ে দিচ্ছে সন্ধ্যা
রাতের আকাশে চলছে ফালি ফালি জোৎস্নার খেলা। ভোরের আলো ফুটতেই মাঠের সবুজ ধানের পাতাগুলো ভিজে উঠছে স্নিগ্ধ নীহারে। সূর্যের বর্ণচ্ছটায় ধানের শিষের ডগায় নুয়ে পড়া কাঁচের মতো শিশিরবিন্দুগুলো যেন প্রতিবিম্ব হয়ে উঠছে সবুজ প্রকৃতির। আর মায়াবী প্রকৃতির এই অবয়ব যেন বিমুগ্ধ করতে শুরু করেছে সবাইকে।
ঘন কুয়াশা
মাঠে পাকা ধানের সোঁদাগন্ধ আর সাতসকালে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে হামাগুড়ি দিয়ে শীত আসছে। বাংলার অপরূপা এই প্রকৃতিতে শুরু হতে যাচ্ছে নবান্ন উৎসব। নতুন ধানের চাল, পায়েস আর পিঠাপুলিতে মেতে উঠতে যাচ্ছে কৃষকের উঠোন। কালের চাকায় ভর করে আবারও সমাগত কুয়াশাচ্ছন্ন শীত