মুশফিকের লড়াকু ফিফটি, মিরাজের বিদায়

Slider খেলা জাতীয় সারাদেশ


স্পোর্টস ডেস্ক | ১৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে চাপ সামলান মুশফিকুর রহীম-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পায়ের পেশিতে টান পড়ায় ইনিংসের ১৯তম ওভারে মাঠ ছেড়ে যান রিয়াদ। মুশফিককে সঙ্গ দিতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ।৫৪ বলে ক্যারিয়ারের ২১তম টেস্ট ফিফটি তুলে অপরাজিত আছেন মুশফিক। মিরাজ ১৫ রান করে ইশান্ত শর্মার চতুর্থ শিকারে পরিণত হন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৩/৫। ভারত ৩৪৭/৯ নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে।

ইডেন টেস্টে ভারতের চেয়ে ২৪১ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই আউট হন সাদমান ইসলাম। ইশান্ত শর্মার পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউয়ে ফাঁদে পড়েন তিনি।রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ইশান্ত তুলে নেন অধিনায়ক মুমিনুল হককেও। তিনিও ফেরেন শূন্য রানে।
৭/২ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতিতে যায় টাইগাররা। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই বিদায় নেন মিঠুন। ব্যক্তিগত ৬ রানে উমেশ যাদবের বলে শামির হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ১৩ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন। ৫ রান করে ইশান্তের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ইমরুল কায়েস।

আজ ১৭৪/৩ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। ফিফটি তুলে বিদায় নেন আজিঙ্কা রাহানে। আগের দিন ২৩ রানে অপরাজিত রাহানে ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক হাঁকান। এই নিয়ে টানা চার ইনিংসে ফিফটি করলেন রাহানে। তাইজুলের বলে এবাদতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫১ রানে আউট হন রাহানে। এরপর ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে আঘাত হানলেন আবু জায়েদ রাহী। তার বল ছেড়ে দিয়ে সরাসরি বোল্ড হন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪১ বলে করেন ১২ রান। তবে কোহলি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৭তম শতক। তাইজুল ইসলামের অসাধারণ এক ক্যাচে আউট হন বিরাট কোহলি। ইনিংসের ৮১তম ওভারে ইবাদত হোসেনের বলে ফ্লিক করেন কোহলি। ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়ানো ছিলেন তাইজুল। লাফিয়ে উঠে ক্যাচটি লুফেন তিনি। ১৯৪ বলে ১৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় দলপতি।

২ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৩১/৯ হয়ে যায় ভারতের স্কোর। তবে বাংলাদেশকে অলআউট করার সুযোগ না দিয়ে দলীয় ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করলো তারা। ঋদ্ধিমান সাহা ১৭ ও মোহাম্মদ শামি ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে উজ্জ্বল তিন পেসার ইবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী ও আল আমিন হোসেন। আল আমিন ও ইবাদত হোসেন প্রত্যেকের শিকার ৩ উইকেট। রাহীর শিকার ২টি। স্পিনার তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন একটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *