স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ট্রাক, বাস কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।
গত রাত ৯টার পর মন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাড়িতে এই বৈঠক শুরু হয়, যাতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের পাশাপাশি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ কর্মকর্তারাও ছিলেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট আহ্বানকারী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে ছিলেন রুস্তম আলী খান, তাজুল ইসলাম, মকবুল আহমেদসহ অন্তত ১০ জন।
বাস মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহও ছিলেন বৈঠকে।
প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে রাত ১টার পর মন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে এসে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাক-কভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিবহন শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য তাদের আগামী বছরের ৩০ জুন মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। তারা আইন সংশোধনের যে দাবি জানিয়েছেন সেটা বিবেচনার জন্য সুপারিশ আকারে আমরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা এগুলো বিবেচনা করে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, এখন চালকরা যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে চালাচ্ছেন, আগামী সাত মাস তারা সেভাবেই গাড়ি চালাতে পারবেন।
অর্থাৎ হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স নিয়ে যারা ভারী যান চালাচ্ছেন, তারা লাইসেন্স হালনাগাদ করতে আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময় পাবে।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করে সরকার। তবে নতুন আইনে মামলা ও শাস্তি দেয়ার কার্যক্রম মৌখিকভাবে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দিযেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।