ইবি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। অভ্যন্তরীন কোন্দলে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জুনিয়র এক কর্মী চর-থাপ্পড় দেয়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান হল মোড়ে রিজভি আহমেদ ওসানের (আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, ১৮-১৯) সাথে লোকপ্রশাসন বিভাগের ঝিনুক, জয়সহ কয়েকজনের বাকবিত-া হয়। সিনিয়রদের সঙ্গে ওসানের আচরণে সমস্যা নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রূঢ় আচরণ করতে থাকে। পরে ওসান তার সিনয়রদের অভিযোগ জানালে সালমান, বাধন ও স্বাধিন ৪/৫ জন সহযোগী নিয়ে ঝিনুক ও জয়কে মারধর করতে আসে। এসময় জয়ের তার সহযোগীরাও পাল্টা মারধর শুরু করে। এসময় উভয় গ্রুপের সঙ্গে শতাধিক কর্মী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তারা লাঠিসোটা, রড, হকি, বাশ নিয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে। এতে সোহাগ, জয়, বাধন, স্বাধিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। এদিকে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে আবারও তাদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। পরে উভয় পক্ষের সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জয়দের গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় শাহজালার ইসলাম সোহাগ এবং সালমানদের নেতৃত্বে রয়েছে ফজলে রাব্বি। তবে উভয়েই পদবঞ্চিত নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের উপ-গ্রুপ হিসেবে কাজ করে। তাদের মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে অভ্যন্তরীন কোন্দল চলমান ছিল।
এবিষয়ে ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমি তাৎক্ষনিক সবাইকে থামিয়ে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। সবাইকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি।
সার্বিক বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম লিখিত অভিযোগ পেলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।