অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় করা মামলার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টে নওশাবার মামলা ৬ মাসের জন্য স্থগিত ও চার সপ্তাহের রুল জারি করেছে। তবে হাইকোর্টের দেয়া এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি করা হয়েছে ২০১৮ সালের ৫ই আগস্ট তথ্যপ্রযুক্তি আইনে। এ দিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইন বিলুপ্ত হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ কার্যকর হয় ওই সালের ৮ই অক্টোবর। নতুন এ আইনের ৬১ ধারা মতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কোনো মামলা বিচারাধীন থাকলে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও চলমান থাকবে।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু এ মামলার চার্জশিট দেয়া হয় ২০১৯ সালের ৩০শে এপ্রিল। অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে ৩রা সেপ্টেম্বর। তাই এ মামলার কার্যক্রম অবৈধ। এ কারণে তা বাতিল চেয়ে আবেদনের পর আদালত ৬ মাস স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।
নথি থেকে জানা যায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ৪ঠা আগস্ট ফেসবুক লাইভে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাব। এর পরদিন ৫ই আগস্ট র্যাব-১ এর কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তারপর তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ৫ই আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল হক তাকে চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এরপর ২০১৮ সালের ২১শে আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় সিএমএম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান নওশাবা।