৯ দফা দাবিতে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে তারা।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান। এ সময় তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত মালিক-শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করবেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তিনি।
৯ দফা দাবি তুলে ধরে রুস্তম আলী জানান, নতুন সড়ক আইন স্থগিত করে মালিক-শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ জরিমানার বিধান রেখে সংশোধন করে একটি বাস্তবসম্মত আইন প্রণয়ন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু চালকদের দায়ি করা যাবে না। চালকের কোন মামলা হলে তা অবশ্যই জামিনযোগ্য ধারায় হতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে গাড়ির কাগজপত্র চেকিং করার নামে পুলিশের অযথা হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সকল ট্রাকস্ট্যান্ড অথবা লেডিং পয়েন্টে গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেকিং করতে হবে।
বৈধ কাগজপত্র থাকলেও অযথা বিভিন্ন অজুহাতে মামলা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নভেম্বর এর পূর্ব পর্যন্ত বিআরটিএ কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত যে সকল পণ্য পরিবহন গাড়ি রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা নির্ধারণ পূর্বক তৈরি করা হয়েছে, সে সকল গাড়ির মডেল থাকাকালীন অবস্থায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। সহজ শর্তে স্বল্প সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। যে সকল চালক যেসব গাড়ি চালানায় পারদর্শী তাদেরকে সেরকম লাইসেন্স দিতে হবে। বর্তমানে হালকা পেশাদার লাইসেন্স দিয়ে ভারী যানবাহন চালানোর অনুমতি দিতে দিতে হবে। জরিমানা মওকূফ করে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার নূন্যতম ৬ মাস সময় দিতে হবে।
রুস্তম আলী আরও বলেন, বিগত পণ্য পরিবহনের আন্দোলনে যেসকল মালিক-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সারাদেশে একই নিয়মে একই ওজনে ওভারলোডিং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে ৩০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা থাকা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল আহমদ এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তালুকদার মো. মনিরসহ মালিক শ্রমিক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনের পর মালিক-শ্রমিকরা সংগঠনটির কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে। এ সময় আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
একই দাবিতে আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন জেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।