বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সোমবারের হরতালকে কেন্দ্র করে সরকার অতীতের মতো ‘গ্রেফতার নির্যাতনের’ পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘হরতালকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে নেতা-কর্মীদের পুরোনো স্টাইলে মামলা, গ্রেফতার ও তাদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ইস্যুতে ক্ষমতাসীনরা ভয়ংকর নির্যাতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না।’
রোববার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, পুলিশ যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনুর বাসায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে মালিবাগ, বংশাল, খিলগাঁও, আদাবর, গেন্ডারিয়ায় নেতা-কর্মীদের বাসায় তল্লাশি ও গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে কারাগারে পাঠানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে সামনে রেখে তাকে কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়ানো হয়েছে। গউছকে ‘নাটকীয় মামলা’ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, গ্রেফতার নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার বিরোধী দলের ক্ষমতাকে ক্ষয় করতে চায়। কিন্তু নির্যাতনের মাধ্যমে দুর্বল করা যাবে না, বরং তাতে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।
হরতালে খাবারের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্রের গাড়ি এবং গাউছুল আযমের সমাবেশ উপলক্ষে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠ হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।