ঢাকা: যতদিন ঘুষ, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, মাদকসহ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে না আসবে ততদিন চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সংসদ অধিবেশনে বেসরকারী সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের উপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী উথাপিত নোটিশের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
আজ বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে রুস্তম আলী ফরাজীর উথাপিত বিষয়টি ছিল ‘ঘুষ, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো (জুয়া) ও মাদকসহ সকল সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সারাবছর অব্যাহত রাখা হউক।’ প্রস্তাবটি সমর্থন করে ৯ জন সংসদ সদস্য বক্তৃতা করেন। তারা সামাজিক অপরাধ দমনে কঠোর অভিযান পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আমরা জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলেন। মানুষ সাড়া দিয়েছে, আমরা সফল হয়েছি। মাদক নিয়ে নির্মুল নিয়ে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা বসে নেই।
মাদক আমরা তৈরি করি না। মাদক আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। আমরা ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছি। ইয়াবা রোধে মিয়ানামরের সঙ্গে তিনদফায় বৈঠক করেছি, চতুর্থ দফায় বৈঠক হবে।
তিনি আরো বলেন, মাদকের স্লাপাই হ্রাসের জন্য আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী বর্ডারে কাজ করছে। সন্ত্রাস দমনে আমরা সন্ত্রাস বিরোধী আইন আপডেট করেছি। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কাজ চলছে। গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থা আপডেট ও লজিস্টিক সার্পোট বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সিটিটিসি সারাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আটটি জঙ্গী সংগঠনকে গেজেট দ্বারা নিষিদ্ধ করেছি। জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছি। মাদকও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি, ঘুষ, মাদক, ক্যাসিনো সন্ত্রাস সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। তিনি সকল অপরাধীকে আইনের মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা তা করছি। যতদিন এই ঘুষ, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো ও মাদকসহ সকল সামাজিক অপরাধ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারবো, ততদিন এই অভিযান চলমান থাকবে।