ঢাকা: ‘মৃত্যু আজ অনেক কাছ থেকে দেখলাম। আমি আর আমার সদ্য বিবাহিত বউ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা এক্সপ্রেসে ছিলাম। রাত ৩টার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সাথে সংঘর্ষ হয়। ফলে উদয়ন এক্সপ্রেসের পিছনের দিকের ৩টা বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।’ গত সোমবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের এমন মর্মস্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন আবদুর রহিম।
রহিম তাঁর ফেসবুক পেজে আরো লিখেছেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেসের পিছনের দিকের ৩টা বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। হতাহতের (নিহত) সংখ্যা আনুমানিক ২০ জন। আহত শতাধিক। হতাহতের সংখ্যা আরও হয়তো বাড়তে পারে। যারা আহত, তাদের অবস্থা বর্ণনা করার মতো না। একটা ব্যাপার খুব খারাপ লাগলো আমরা ট্রেনের কিছু যাত্রী ও স্থানীয় কিছু লোক ছাড়া সবাই ছবি তুলতে, ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিল। ট্রেনের কোনো পুলিশ ও স্থানীয় বিডিআর উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নিস্ক্রিয়। আমি একটা রেলওয়ে পুলিশকে বললাম হেল্প করতে সেই বললো তার নাকি ভয় করে। ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়। এ-ই হলো আমার বাংলাদেশ।’