ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশন এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় তূর্ণা নিশীথার চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে বরখাস্ত করা হয় তাঁদেরকে।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মিয়া জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
মিয়া জাহান বলেন, তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ভুল লাইনে চলে যাওয়ার দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দুর্ঘটনার কারণে ওই ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালক (গার্ড) তিনজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আভিযোগ ওঠে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে তূর্ণার চালক সিগনাল অমান্য করায়।
মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, তূর্ণার চালক তথা লোকো মাস্টারকে ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কর্মকর্তারা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে চলন্ত অবস্থায়। উদয়নকে লুপ বা সাইড লাইনে যখন পাঠানো হচ্ছিল তখন এর পেছনের তিনটি বগি মূল লাইনে থাকতেই ঢাকাগামী তূর্ণা চলে আসে এবং এ সংঘর্ষ ঘটে।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা কালের কণ্ঠকে জানান, এ পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার ব্য্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে ৯ জন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনজন, বৃাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুইজন ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। পরে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনায় মোট পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি, সরকারি রেল পরিদর্শকের একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের একটি।