খেলা: ১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেতে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন লিটন দাস। দিপক চাহালের বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। পরের বলেই বিদায়নেন সৌম সরকার। তিন ওভারে মাত্র ১২ রানে দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পরে যায় বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেটে ওপেনার নাঈম শেখের সঙ্গে ব্যাট করছেন সিরিজে প্রথম সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন। এদের জুটিতে ৪ ওভারে এসেছে ৩২ রান। এরমধ্যে নাঈম শেখের সংগ্রহ ২৮ রান। মাত্র ২৩ বলে ৩২ রানে ব্যাট করছেন নাঈম।
মিঠুন অপরাজিত আছেন ৪ রানে। এ প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত সাত ওভারে দুই উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৪ রান।
এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে আল আমিন হোসেন দেন মাত্র ৩টি রান। পরের ওভারের তৃতীয় বলে শফিউল ইসলাম ভাঙেন রোহিত শর্মার লেগ স্টাম্প। ৬ বলে ২ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচেও প্রথম ওভারেই তিনি এলবি হন শফিউলের বলে।
শফিউল তার তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকেও ফেরান। ষষ্ঠ ওভারে তার দ্বিতীয় বলে অনেক উঁচুতে শট খেলেন ধাওয়ান। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ ধরেন মাহমুদুল্লাহ। ১৬ বলে চারটি চারে ১৯ রান করেন ধাওয়ান। লোকেশের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৩ বলে ৩২ রানের। ওই ওভারের পঞ্চম বলেই আইয়ারকে জীবন দেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় বলে জীবন পেয়ে রানের খাতা খোলেন আইয়ার। তার সঙ্গে লোকেশের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি অস্বস্তিতে রেখেছিল বাংলাদেশকে। ফিফটিও করেন লোকেশ, ৩৩ বলে। এর ২ বল পর আল আমিনের শিকার হন তিনি। ৩৫ বলে ৭ চারে ৫২ রান করে লিটন দাসের ক্যাচ হন এই ব্যাটসম্যান। আল আমিন দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই ভাঙেন ৪১ বলে ৫৯ রানের জুটি।
এরপর জ্বলে ওঠেন শূন্য রানে জীবন পাওয়া আইয়ার। এই ব্যাটসম্যানই ঝড়ো এক ইনিংস খেলে ভারতকে দারুণ সংগ্রহ এনে দেন। ২৭ বলে তিনি করেন প্রথম ফিফটি, ১ চার ও ৫ ছয়ে। আফিফ হোসেনের প্রথম ওভারেই টানা তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আরও একবার ক্যাচ মিস করেন বিপ্লব। ডিপ মিডউইকেটে শিবম দুবের ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। ৩ রানে জীবন পান তিনি। দুবে ৯ রানে, আর মনিশ ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন শফিউল ও সৌম্য। আফিফ ও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন খরুচে। একমাত্র ওভারে ২০ রান দেন আফিফ, মোস্তাফিজের ৪ ওভারে ভারত পায় ৪২ রান।