ঢাকা: দুই ওপেনারকে হারানোর পর উইকেটে বেশ গেড়ে বসেছিলেন ওয়ান ডাউনে নামা লোকেশ রাহুল। ফর্মহীনতায় ভোগা এই ব্যাটসম্যান আজ তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। শ্রেয়সের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন ৫৯ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৭ চারে ৫২ রান করা রাহুলকে লিটন দাসের তালুবন্দি করে ব্রেক থ্রু দিলেন টাইগার পেসার আল-আমিন। প্রথম তিন উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। ১২.৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৫ রান।
নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। বল হাতে নেমে ভারতকে রীতিমতো চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। ভারতকে থামাতে হলে রোহিত শর্মাকে দ্রুত থামাতে হবে- এই সাধারণ থিওরিটা সবাই জানে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে রোহিতের (২) স্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বড় ব্রেক থ্রু এনে দেন শফিউল। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। এটি ছিল শফিউলের মেডেন উইকেট। এরপর হাত খুলে মেরে পাল্টা চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেন শিখর ধাওয়ান আর লোকেশ রাহুল।
এমন সময় আবারও বাংলাদেশের ত্রাতা হন শফিউল। ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা ওপেনার শিখর ধাওয়ান (১৯) তার বলে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। ৫.২ ওভারে ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। দুই বল পর আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন এই পেসার। তবে শ্রেয়স আইয়ারের দেওয়া সহজ ক্যাচ পয়েন্ট এলাকায় ফেলে দেন আমিনুল। ফলে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর অবকাশ পায় ভারত। মুস্তাফিজকে পাত্তাই দিচ্ছিলেন না ভারতের ব্যাটসম্যানরা। পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায় লোকেশ রাহুল আর শ্রেয়সের জুটি।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে একটি পরিবর্তন এসেছে টাইগার একাদশে। ওয়ার্মআপের সময় কুঁচকিতে চোট পাওয়ায় ছিটকে গেছেন তরুণ অল-রাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।এদিকে ভারতীয় একাদশেও এসেছে একটি পরিবর্তন। ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন মণীষ পাণ্ডে।
ইতিহাস গড়ার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টসভাগ্য সহায় হয়েছে টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে নিয়েছে দুই দল। তাই আজকের ম্যাচটি হয়ে গেছে অঘোষিত ‘ফাইনাল’। এই ম্যাচ জিতলে ভারতের মাটিতে প্রথমবার কোনো সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ।