দেশের উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় ও সুন্দরবনে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব তিন জেলায় চারজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে খুলনায় দুইজন, পটুয়াখালী ও বরগুনায় একজন করে নিহত হয়েছেন। এছাড়া কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করেছে এবং বিপুলসংখ্যক গাছ উপড়ে পড়েছে।
আজ রবিবার ভোররাতে আঘাত হানার পর এখনও চলছে ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে তিন জেলায় চারজন নিহত হয়েছেন।
বুলবুলের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলায় প্রমিলা মন্ডল (৫২) নামে এক নারী ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ দাকোপে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রমিলা সুভাস মন্ডলের স্ত্রী।
এছাড়া খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সেনহাটি গ্রামে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক গাছচাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামে হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার বলেন, উপজেলার উত্তর রামপুরা গ্রামে ঘর ভেঙে চাপা পড়ে হামেদ ফকির নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে জেলার আরো কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে।
এছাড়া বরগুনা সদর উপজেলার ডিএন কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে হালিমা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার বানাই গ্রামে। বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, হালিমা খাতুন নামের ওই নারী অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।