বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকা বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারসহ বরগুনার ১৫ জেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ সকালে নারিকেল বাড়িয়ায় বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর কোন এক সময় ট্রলারটি নিখোঁজ হয় বলে জানা যায়।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটা মৎস বন্দরে এসে সগির হোসেন নামে ওই ট্রলারের এক মাঝি তাকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সগিরের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বরগুনা সদরের নলী গ্রামের নজরুল ইসলামের মালিকধীন ‘তরিকুল’ নামের ট্রলারটি নিয়ে ১৬ জন জেলে গত বৃস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান।
আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরের নারিকেল বাড়িয়া এলাকায় ট্রলারটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় জেলে সগির হোসেন অন্য ট্রলারে উঠে তীরে ফিরে অন্য একটি ট্রলার নিয়ে নষ্ট ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য সেই এলাকায় যান। তারা গিয়ে ট্রলারটি আর খুঁজে পান নি তারা।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেতের আওতায় রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর থাকবে ৯ নম্বর বিপদ সঙ্কেতের আওতায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারিবর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।।