ওমর অক্ষর: কোন নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ক্ষমতা নেই; এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পুরুষের সঙ্গম! কিন্তু কোন নারী বিবাহ-বহির্ভূত সঙ্গমে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে তাকে আমরা বলি বেশ্যা, পতিতা, চরিত্রহীনা ইত্যাদি। কিন্তু আমরা মাথামোটা বাঙালিরা চিন্তা করতে ভুলে যাই নারীটা শুয়েছিল, সে বিছানার সঙ্গী একটা পুরুষ ছিল। এখানে সমান ভাবে খারাপ সে পুরুষটিও। ভুলে যায় গালি দিতে লম্পট,লোচ্চা চরিত্রহীন।
মিথিলার সাথে যে পুরুষটি চুম্বনের ছবি নিজের টাইমলাইনে প্যারাক মেরে ঝুলিয়ে রেখেছেন, সে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি’র তার কোনো দোষ আপনি দেখছেন না? এ বিংশ শতাব্দীতে এসেও আপনার মানসিকতা যদি এমন হয় “পুরুষরা এমন একটু-আধটু করতেই পারে?” ফাহমি’র কোন দোষ দেখছেন না। তাহলে আপনি বুঝে নিবেন মানসিকতার রুচিবোধে আপনি চমম ক্ষেত, এসব লম্পটের লাইসেন্স আপনি দিচ্ছেন এবং আপনার মগজেও কিলবিল করে নারীর রতিক্রিড়া।
আপনি মিথিলার চুম্বনের ছবি টাইমলাইনে ঝুলিয়ে সমালোচনা ঝড় তুলছেন কেন? আপনি কি আপনার ভালোবাসার মানুষটি কে চুম্মু দেন না? যাকে চুম্মুু দিয়েছেন তার সাথে কি কখনো ব্রেকআপ হতে পারে না?
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনারদের অনেকের প্রেমের সময় এর চেয়েও বেশি অন্তরঙ্গ মুহূর্ত আছে!
আমি কারো পক্ষ নিয়ে কাউকে দুধের ধোয়া তুলসী পাতা বলছিনা। ভাববেন না আবার অক্ষর প্রেমের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে। আমি মনে করি নিয়ম নীতি বহির্ভূত সম্পর্কের নামটি প্রেম। সো আপনি এমন বহির্ভূত সম্পর্কের প্রেমিক বা প্রেমিকা হয়ে টাইমলাইনে অন্যের চুম্মাদেয়ার ছবি টানিয়ে রাখছেন কেন? কেন চুম্বনের ছবি লাইক দিচ্ছেন, শেয়ার করছেন, ট্রল করছেন ?
মিথিলা একজন ডিভোর্সি নারী। আপনাদের মতো তার প্রেমিক থাকতে পারে এবং তাকে তিনি বিয়েও করার পরিকল্পনা করতে পারেন। সেই সম্পর্ক আবার ভেঙ্গেও যেতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। সবার ব্যক্তিগত ভাবে বাঁচার অধিকার আছে। কারো ব্যক্তিজীবন নিয়ে নাড়াচাড়া করা বা দুষ্টুমি করাও নষ্টামি।
এই ঘটনা অশ্লীলতার কারণে মিথিলার দোষ থাকলে তার চেয়ে বেশি দোষ হল ফাহমি’র। কারণ ছবিটা দুজনের, দোষক্রটিও দুজনের সমান সমান। কিন্তু ছবিগুলো প্রকাশ ঘটেছে ফাহমি’র টাইমলাইন থেকে। যা আইনিভাবে অপরাধ। হ্যাঁ আপনি বিশ্বাস করতে পারেন ফাহমি’র আইডি হ্যাক হয়েছে। তবুও তার দোষ বেশি। কারণ আইডি হ্যাক হওয়ার পর থানায় জিডি করেনি কেন?
কিন্তু আমরা বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া বিবেচ্যহীন এক নারীর সমালোচনা করে যাচ্ছি। যা ইতিমধ্যে অভদ্রতা অনধিকার এবং অনৈতিক পুরুষতান্ত্রিক একতরফা চর্চা_____
লেখা- ওমর অক্ষর