ডেস্ক | পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের কারণে নারায়ণগঞ্জ থেকে এসপি হারুনকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের সাবেক এসপি হারুনের চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়ীকে উঠিয়ে নেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এদিকে অভিযোগের মুখে এসপি হারুনকে প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও এখনও কাউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি তিনি। নারায়ণঞ্জের পুলিশ সুপারের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি গাড়ি এবং মোবাইলফোনও তিনি ব্যবহার করছেন বলে জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন এসপি হারুন। এছাড়া বুধবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস সপ্তাহের অনুষ্ঠানেও এসপি হারুনকে দেখা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এসপি হারুনও তাকে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, গত ১লা নভেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাশেমের ছেলে শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ফারা রাসেল ও ছেলে আনাব আজিজকে বাসা থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ ওঠে এসপি হারুন ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমের বিরুদ্ধে। শওকত আজিজ রাসেলকে ফাঁসানোর জন্য গাড়িতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে নাটক সাজিয়ে দুই নম্বর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এসপি হারুন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ১লা নভেম্বর রাত পৌনে ১টায় নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে শওকত আজিজ রাসেলের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ চালক সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় গাড়িতে থাকা শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ফারা রাসেল ও ছেলে আনাব আজিজকে। পরে দুপুরের দিকে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাশেম ও বড় ছেলে আজিজ আল কায়সার টিটু এসপি অফিস থেকে ছেলের বউ ও নাতিকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন। তবে শওকত আজিজ রাসেল ও ড্রাইভার সুমনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বিপত্তি বাধে শওকত আজিজ রাসেলের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে। বিষয়টি খোলাসা হয় যে চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশন থেকে নয়, শওকত আজিজ রাসেলের বাসা থেকে স্ত্রী ও ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।