ডেস্ক | প্রায় সময়ই আব্বু বলতেন, যেই বাংলাদেশ নিজ হাতে স্বাধীন করেছি, সেই দেশে আমাকে কি বাক্সবন্দি হয়ে ফিরতে হবে? শেষ পর্যন্ত বাবার কথাই সত্যি হলো। তাকে দেশে আনা হলো, তবে সুস্থ অবস্থায় নয়, একেবারে কফিনে মুড়িয়ে বাক্সবন্দি করে। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন খোকার বড় ছেলে ইশরাক।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার জানাজার আগে এক আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জানাজায় অংশ নেয়া খোকার রাজনৈতিক সহকর্মীদের মধ্যে অনেককেই কাঁদতে দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে খোকার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগমুহূর্তে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বাবার স্মৃতি রোমন্থন করেন খোকাপুত্র।
এর আগে সাদেক হোসেন খোকার লাশ আজ সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
খোকার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু তার মরদেহ গ্রহণ করেন। বিমানবন্দর থেকে খোকার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনে নেয়া হয়। সেখানে বেলা ১১টায় তার জানাজা হয়।
এটিই দেশের মাটিতে খোকার প্রথম জানাজা।
তার প্রথম জানাজা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সর্বস্তরের বাংলাদেশিরা অংশ নেয়। জানাজা শেষে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় তার পরিবার। সোমবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান খোকা। ক্যান্সারে আক্রান্ত খোকা প্রায় পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ছিলেন।