ঢাকা: ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারকে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে প্রথম আলো সম্পাদকসহ কিশোর আলো অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত আবরারের বাবা মজিবুর রহমান।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার নিহতের ঘটনায় কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গনেশ গোপাল বিশ্বাস এ তথ্য জানান। এর আরো দুদিন আগে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা।
৩ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ওবায়েদ আহমেদের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ নোটিশটি পাঠান। ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রথম আলোর প্রকাশক, সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদককে দিতে বলা হয়েছে।
নাইমুল আবরার ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির দিবা শাখার শিক্ষার্থী ছিল। ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের সঙ্গেই থাকতো সে। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুরে। গত ২ নভেম্বর গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
গত ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয় নাইমুল আবরার রাহাত। এ ঘটনায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা। আবরারের সহপাঠীদের দাবি, ঘটনা চেপে রেখে আবরারকে কলেজের পাশের কোনো হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবর লুকিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।