ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তারা আমাকে ভোট দিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সব হারিয়েও জনগনের সেবা করার জন্য পাশে রয়েছি।
আজ বেলা ১টার পর সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষনে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষক লীগের সাংগঠনিক নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৈরি মঞ্চে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কবুতর উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে পরিবেশন করা হয় কৃষক লীগের ‘কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ শিরোনামের থিম সং।
এদিকে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা উচ্ছাস উদ্দীপনা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ স্থলে জড়ো হয়েছেন। সকাল ১০টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হতে দেখা যায়। উদ্যানে প্রবেশের জন্য হাজার হাজার মানুষকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করে। গাড়িতে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে সমাবেশস্থলে আসে অনেকে। সবার হাতে রয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। অনেকের গায়ে একই রঙের টি-শার্ট, মাথায় একই রঙের ক্যাপ শোভা পাচ্ছে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে উদ্যান এলাকা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলনের মূল মঞ্চের সামনের বসার জায়গা পূরণ হয়ে যায়। পরে সম্মেলন কেন্দ্রে আসা নেতাকর্মীরা মূল মঞ্চের বাইরে অবস্থান নেন।
সম্মেলন ঘিরে জরুরি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের সাহায্যের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ করতে দেখা যায়। বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কবুতর উড়িয়ে ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরও মিছিল আসতে থাকে।
সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য।