পলিটেকনিকের ১১১৯ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের টর্চার সেল! দেশি অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেলো

Slider জাতীয় টপ নিউজ শিক্ষা


রাজশাহী: রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১১১৯ নম্বর কক্ষটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করত ছাত্রলীগ। তবে এত দিনে ঘুনাক্ষরে বিষয়টি জানা যায়নি বলছে কর্তৃপক্ষ। ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের ঘটনার পর রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিলে বিষয়টি সামনে আসে। ওই কক্ষ থেকে দেশি অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে।

অধ্যক্ষকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরের ফেলে দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর। রবিবার এ কমিটি গঠন করা হয়। সন্ধ্যায় কমিটির তিন সদস্য রাজশাহী পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন। এ সময় তদন্ত দল ক্যাম্পাসে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায়।

পুকুরের পশ্চিম পাশের ভবনের ১১১৯ নম্বর কক্ষে এ টর্চার সেল থেকে লোহার রড, পাত ও পাইপ পাওয়া যায়। পরে সেগুলো পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়। এ সময় তদন্ত কমিটির কাছে কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্র জানান, ওই টর্চার সেলটি ছাত্রলীগের। ওই কক্ষের সামনে ছাত্রলীগের টেন্ট। ছাত্রলীগের নেতাদের কথা না শুনলে সেখানে নিয়ে গিয়ে টর্চার করা হতো।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, তারা তদন্ত শুরু করেছেন। অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখনই তদন্তের সব কথা বলে দিলে তো তা আর তদন্ত থাকে না। তাই সব বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের পর প্রতিবেদন তৈরি করবেন। এরপরই তা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান সরকারি তদন্ত কমিটির প্রধান।

এদিকে, রাজশাহী পলিটেনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ওই কক্ষটি জোর করে নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা ব্যবহার করতো। সেখানে বসে তারা বিভিন্ন সময় আড্ডা বা মিটিং-সিটিং করতো। কখনও শুনিনি তারা ওই কক্ষটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতো। আর এ নিয়ে কেউ কোন দিন তার কাছে অভিযোগও দেয় নি। দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *