ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দূর্নীতিবাজ ও অপকর্মকারীদের এখনো ধরা হয়নি বলে তারা হয়তো চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ বলছেন। তাদের দলের অনেক নেতাই নানা অপকর্মে জড়িত। সেই তালিকাও সরকারের কাছে আছে। প্রধানমন্ত্রী আগে নিজের দল থেকেই শুরু করেছেন। ক্যাসিনোসহ নানা অপকর্মে জড়িত সবার বিরল্ফম্নদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ডিসি হিল প্রঙ্গনে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্টানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের জন্যও একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। সেটি যাচাই বাছাই এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত্ম নেওয়া হবে। তবে কেউ কখনো আমাদের দলে আসতে পারবে না তা নয় কিন্তু। যারা অপকর্মে যুক্ত, অন্যদলে থাকাবস্থায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে, দখলবাজসহ নানা অনিয়ম অপকর্মে যুক্ত ছিল তাদেরকে আমাদের দলে নেয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। তাদেরকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর কোন প্রশ্নই আসে না।’
রাঙ্গুনিয়া কুলকুরমাই সদ্ধর্মোদয় বিহারের অধ্যক্ষ শাসনরত্ম ভদন্ত্ম ধর্মসেন মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে কঠিন চীবর দানোৎসবে আশীর্বাদক ছিলেন বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় গুরল্ফম্ন ড. ধর্মসেন মহাস্থবির, দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় গুরল্ফম্ন ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপস্নব বড়ুয়া, ধর্মদেশনা দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পালি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির, মোগলটুলি শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের মহাপরিচালক ভদন্ত্ম তিলোকাবংশ মহাস্থবির, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু ভদন্ত্ম মেত্তাবংশ স্থবির, শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের উপ বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত্ম প্রজ্ঞামিত্র ভিক্ষু প্রমূখ।
এর আগে চট্টগ্রাম ডিসি হিল প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি পরিচালিত চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের শুভ কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে পৃথিবী জুড়ে ধর্মের নামে যে হানাহানি বিভেদ চলছে কোন ধর্মেই তা সৃষ্টি করেনি। অনেকেই নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করে ধর্মীয় হানাহানি সৃষ্টি অপচেষ্টা চালায়।