ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নার গত বছর নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল অনেক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। শোনা যাচ্ছে, এক বছরের জন্য ক্রিকেটের বাইরে থাকা সাকিবের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে উবার, ইউনিলিভারসহ বেশ কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। ফলে বিপুল আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন এই অলরাউন্ডার।
সাকিব এতদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে এ-প্লাস ক্যাটাগরির খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু বুধবার তার কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করে বিসিবি। এ-প্লাস ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের বেতন সব মিলিয়ে মাসে সাড়ে চার লাখ টাকা। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান উবার নাকি সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাচ্ছে এখন। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ইউনিলিভার ও একটি পাঁচতারা হোটেলের সঙ্গেও সাকিবের চুক্তি রয়েছে।
তাদেরও সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। আর গ্রামীণফোনের সঙ্গে সাকিবের মোটা অঙ্কের চুক্তিটাও বোধহয় ভেস্তেই যাচ্ছে। এ চুক্তি নিয়ে বিসিবির রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। বোর্ডের নিয়ম ভেঙে চুক্তি করেছিলেন বলে কম কথা শুনতে হয়নি তাকে।
এ ছাড়া সাকিব শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আছেন আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের সঙ্গে। নিষিদ্ধ একজনের সঙ্গে ইউনিসেফ সম্পর্ক রাখবে কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন। সব মিলিয়ে আগামী এক বছর আর্থিক লোকসানেই কাটবে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং ইস্যুতে এক বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন স্মিথ-ওয়ার্নার। এরপর বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানায়, এক বছরে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসানে পড়তে যাচ্ছেন যাচ্ছে তারা। সেটিই হয়েছিল আইপিএলে দুজনই উপেক্ষিত ছিলেন। তাতেই ২.৪ মিলিয়ন ডলার হাতছাড়া হয়ে যায় স্মিথ-ওয়ার্নারের। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বেতন ভাতা বাবদ ১.৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বঞ্চিত হন স্মিথ। ওয়ার্নার হারান ৯ লাখ ডলার। বিভিন্ন স্পন্সর কোম্পানিও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।