সারদা কেলেঙ্কারির টাকা জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাংককে ব্যবহার করা হয়নি বলে জানালেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। শনিবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা এসেছিলেন মুহিত।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে সারদার টাকা গচ্ছিত করা হয়েছিল এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি।”
আজ কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা আজ এই খবর দিয়েছে।
আনন্দবাজার লিখেছে, জেলবন্দি তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ সিবিআই ও ইডি-র কাছে অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যসভার সদস্য আহমেদ হাসান ইমরানের মাধ্যমে সারদার কোটি কোটি টাকা অ্যাম্বুল্যান্সে করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে মৌলবাদী জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কুণাল সারদার মিডিয়া শাখার প্রধান ছিলেন। স্বভাবতই তার অভিযোগটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার দাবিও করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সূত্র।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমি-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বর্তমানে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সদস্য। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামির নেতাদের সঙ্গেও তার দহরম মহরম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠানো সারদার টাকা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা হয়েছে, এমন কথা কুণাল বলেননি। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী জানালেন, তেমন কোনো প্রমাণও মেলেনি।
নভেম্বর মাসের শেষ দিনে কলকাতার সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ অভিযোগ করেছিলেন, সারদার টাকা বাংলাদেশের জঙ্গিদের হাতে গিয়েছিল, যারা খাগড়াগড় বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছিলেন, সারদার টাকা বাংলাদেশের জঙ্গিদের হাতে যাওয়ার কোনো প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে এখনও আসেনি। তবে এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। সে তদন্ত অবশ্য এখনো শেষ হয়নি।