ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ঝিলন মিয়া সরকারের বক্তব্যের সাথে হাসপাতালের পরিচালকের বক্তব্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ। পরিচালক সরকারের শেখানো কথাই বলছেন। বিএসএমএমইউ এর পরিচালকের বক্তব্যে এটি সুষ্পষ্ট যে, ৭৫ বছর বয়সী ভয়ানক অসুস্থ চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাবন্দী রেখে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে নি:শেষ করার মহাআয়োজন চলছে। প্রধানমন্ত্রীর মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে পরিচালকের বক্তব্যে। পরিচালক সাহেবের বক্তব্যের অনেকাংশই এখতিয়ার বহির্র্ভুত। ভীষণ অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে শেখ হাসিনার মতোই পরিচালকের বক্তব্যও অযাচিত, অগ্রহণযোগ্য, অসৌজন্যমূলক, পূর্বকল্পিত, বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও কুৎসামূলক। সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের দুরভীসন্ধি নিয়েই কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
প্রতিদিন তার শরীর ভেঙ্গে পড়ছে, স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। উন্নতমানের চিকিৎসার অভাবে তিনি এখন প্রতিনিয়ত চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়ছেন। তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের অব্যাহত দাবী ও তার পরিবারের আবেদন-অনুরোধ কানে তুলছে না সরকার। তারা দেশনেত্রীকে কোনভাবেই মুক্তি না দিয়ে কারাগারে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নে উন্মত্ততা দেখাচ্ছে। ম্যাডামের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এখনি সুচিকিৎসা না করাতে পারলে তার সুস্থ অবস্থায় ফিরে না আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমাদের দলের সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং তার পরিবারের সদস্যরা তা সচক্ষে দেখে এসেছেন। অথচ এখন শেখ হাসিনা উনার অসুস্থতা নিয়ে নিয়মিত মিথ্যাচার করে চলেছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গত শনিবার সন্ধ্যায় আজারবাইজানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বলেছেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে আন্দোলনের ইস্যু বানাতে তাকে অসুস্থ বলছে। খালেদা জিয়া কারাগারে অন্য বন্দীদের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করছেন। এর আগে শেখ হাসিনা লন্ডনে গিয়ে বলেছিলেন খালেদা জিয়াকে সারাজীবন কারাগারে রাখবেন তিনি। এসব কথাবার্তাতেই সুষ্পষ্টভাবে প্রমান মেলে-বেগম জিয়াকে বন্দী অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় চিরতরে পঙ্গু করে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। দেশনেত্রীকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে একতরফাভাবে নির্বাচন করার পর এখন তাদের ভয়ের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। এ কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে উনাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। অন্যথায় তার যদি কোন ক্ষতি হয় তবে সকল দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই বহন করতে হবে।