বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে যারা ইতিহাস বিকৃত করেছে তাদেরকে কুলাঙ্গার অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা পার পাবে না। জনগণই তাদের বিচার করবে। বিএনপি-জামায়াত বিশ্বব্যাংকের কাছে আওয়ামী লীগকে দুর্নীতিবাজ বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তা তারা পারেনি।
শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে বঙ্গবন্ধু ভবনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি নেতা-কর্মীদের জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব জায়গায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল এখনও হয়নি, সেগুলো দ্রুত শেষ করে বই আকারে তার কাছে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
পরে তিনি ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ ফারুক খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেখ কবীর হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, যুব মহিলালীগ সভনেত্রী নাজমা আক্তার এমপি, উম্মে রাজিয়া কাজল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিকদার নূর মোহম্মদ দুলু ও শেখ রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদুল হকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মধ্যাহ্ন বিরতি, নামাজ ও বিশ্রাম শেষে বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে তিনি রওনা হন ঢাকার উদ্দেশে।