সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘রাজনীতিতে বেপরোয়া ভাষার ব্যবহার বেপরোয়া গাড়ি চালনার মতোই বিপজ্জনক। আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও বেপরোয়া রাজনীতি কেউ বরদাস্ত করবে না। সরকার তখন জানমাল রক্ষায় সচেষ্ট হবে।’
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ ভবনে আইডিইবি’র দুই দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলন ও বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্লাইওভারে রাজধানীর যানজট পুরোপুরি কমবে না। তবে মেট্রোরেল হলে যানজট কমতে পারে। যানজট আমরাই তৈরি করি। ভিআইপিরা ট্রাফিক আইন মানেন না। অসচেতনভাবে তারা রঙ সাইডে গাড়ি চালান। আর অপর সাইডে শত শত গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নিয়ম না মানলে কখনোই শৃংখলা ফিরে আসবে না।’
দুর্ঘটনা বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত সুপারিশ অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে সারাদেশের সড়কের বাঁকগুলোকে সোজা করা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনারোধে সচেতনতা প্রয়োজন।
ঢাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলো শেষ হলে ২০১৭-১৮ সালে ঢাকা সিটি হবে হংকংয়ের মতো নয়নাভিরাম সিটি।
আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বের অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সূচনা বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান যানজট নিরসনে ঢাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা, অযান্ত্রিক যানবাহন মূল সড়কে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, ঢাকার সড়কসমূহের মাত্রাতিরিক্ত ইউটার্ন কমিয়ে এনে গাড়ি ইউটার্নের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে ইউলুপ নির্মাণ করা এবং গাড়ি সরাসরি মোড় নেওয়ার পরিবর্তে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর ডাইভারশন করার উদ্যোগ নেওয়া ও আরামদায়ক পাবলিক পরিবহণ সংখ্যা বৃদ্ধির সুপারিশ করেন।