ঢাকা: বগুড়ার শিবগঞ্জের রহবলে ‘রাহবার এন্টারপ্রাইজ’ নামে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে দুই শিশু ও এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬জন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ গোবিন্দগঞ্জে হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলেই তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
হাইওয়ে পুলিশের গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, রাহবার এন্টারপ্রাইজের ওই বাসটি বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল এলাকায় পৌঁছার পরপরই চালক তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে বাসটি উল্টে পাশের ধানের জমিতে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ বছর বয়সী এক ছেলে, এক কন্যা শিশু এবং ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আহত ৬ জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে খবর পেয়ে স্বজনরা গোবিন্দগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা এলেই নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে শরীয়তপুরে জাজিরায় পদ্মা নদীতে দু’টি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৩ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ও সন্ধ্যায় জাজিরার বড়কান্দি এলাকার পদ্মা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হচ্ছেন- জাজিরার পূর্বনাওডোবা গ্রামের আব্দুল মান্নান (৫৫), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বাচ্চু মাতবর (৩৫) ও ভোলার মনপুরা উপজেলার নিয়াজ উদ্দিন (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার জাজিরা উপজেলার পালেচরের ঝিনু মার্কেট এলাকার পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার সময় দুইটি স্পিডবোটের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই জেলে স্বপন মোল্লা (৩৫) নিহত হন। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মান্নান বেপারি নামে এক জন নিখোঁজ থাকার কথা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় জাজিরার বড়কান্দি এলাকা থেকে আব্দুল মান্নান, বাচ্চু মাতবর ও নিয়াজ উদ্দীন নামে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জাজিরা থানার ওসি বেলায়েত হোসেন বলেন, স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর কেউ নিখোঁজ আছে কিনা আমরা নিশ্চিত নই।