শ্রীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচনে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
(২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টার দিকে বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে হামলাকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ২০ অক্টোবর বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অবিভাবক সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পুরুষ অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন খলিলুর রহমানকে, সাইফুল ইসলাম, বিল্লাল ফকির, রতন মিয়া ও বিনাপ্রতিন্ধীতায় নির্বাচিত হন মহিলা অভিভাবক সদস্য মৌসুমী সরকার।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক বাদল সরকার বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশ ক্রমে নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচনের সভায় বসি। হঠাৎ করে বরমী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে যুবলীগ নেতা জহিরুল সরকারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বহিরাগত যুবক অফিস রুমে প্রবেশ করে অভিভাবক সদস্য খলিলুর রহমানকে সভা ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ অমান্য করায় অভিভাক সদস্য খলিলুর রহমানকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। তিনি আরো জানান, এই ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে জহিরুল সরকার মোবাইল ফোনে ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জহিরুল সরকার বলেন, বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের দু’জন সদস্য আমার আত্মীয় তাদের ডাকতে আমি অফিস কক্ষে যায়। এসময় আমাকে চেয়ারম্যান তার ম্মার্ট ফোনে ভিডিও ধারণ করার সময় আমি তাকে বাধা দেই। মোবাইল ছিনিয়ের ঘটনাটি মিথ্যা।
বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বারী তারেক বলেন, সভাপতি নির্বাচনের জন্য পূর্ব নির্ধারিত সভা চলাকালীন সময়ে যুবলীগ নেতা জহিরুল সরকার দু’জন নির্বাচিত সদস্যদেরকে হুমকি দিয়ে তুলে নিতে চেয়েছিলো। এ ঘটনা সামাল দিতে আমি পুলিশকে খবর দেই, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। এর পর সভা পুনরায় শুরু হয়ে বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান শামসুল হক সরকার বাদল ৮ম বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক ও অবিভাবক সদস্যরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন, সভা চলাকালীন সময়ে কিছু বহিরাগত যুবক স্কুলে প্রবেশ করে কয়েকজন অভিভাবক সদস্যকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে আমি জেনেছি। তবে আমি বিদ্যালয়ের যাওয়ারপর বহিরাগত কাউকে পায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।