ঢাকা: দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করতে ক্রিকেটারদের এই ধর্মঘট দাবি করে আজ দুপুরের দিকে জরুরি বৈঠকে বসেন বিসিবি পরিচালকরা। এরপরই বিকেল সংবাদ সম্মেলন করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘আমাদের কাছে দাবি না তুলে তারা যে উদ্দেশ্যে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরলো, সে উদ্দেশ্যে আপাতত তারা সাকসেস। এসিসি-আইসিসি থেকে শুরু করে সবাই ফোন করে বলছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট নষ্ট হয়ে গেছে। তার মানে, বাংলাদেশের ইমেজ এবং ক্রিকেটের ইমেজ নষ্ট করতে সফল হয়েছে তারা।
বিসিবি সভাপতি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই খেলা বন্ধ। এমন এক সময়ে বন্ধ করলো- যখন ফিটনেস এবং ক্যাম্প শুরু করার কথা রয়েছে। নতুন কোচ এসেছে, সামনে ভেট্টরিও আসবেন।
আমার মনে হয়, ওদের বিদেশি এসব কোচ পছন্দ নয়। তারা তো এমনও বলেছে, কোচই চাই না। এখন চায় দেশি কোচ। কিন্তু তাদের মতো করে তো আমরা কোচ নিয়োগ দিতে পারি না।’
ভারত সফরের আগে এই আন্দোলনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে এই প্রথম যাচ্ছে। এত কষ্ট করে একটি ফুল সিরিজ ভারত থেকে আসলো। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে এবং প্রথম খেলাটাই ভারতের সাথে। অথচ তার আগেই তারা বলে দিলো, আমরা খেলবো না।’
কখন থেকে এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে? পাপনের ধারণা বিসিবির এক পরিচালক (ক্যাসিনো ইস্যুতে) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এক ডাইরেক্টর এরেস্ট হওয়ার পর থেকেই সবার টার্গেটে পরিণত হয়েছি আমি নিজে এবং আমার বোর্ড। তারা প্রথমে চেষ্টা করেছে নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার। আমাদের আক্রমণ করে যদি বাইরে পাঠানো যায়, বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ওটাতে তারা সফল হয়নি। এখন সেকেন্ড স্টেপ চলছে। যদি কোনোভাবে ভারত সফরটা মিস করা যায়, তাহলে বড় ধরনের একটা সমস্যায় পড়তে পারি।’
পাপনের বিশ্বাস এটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তিনি বলেন, ‘তারা (ক্রিকেটাররা) কেন আমাদের কাছে কিছু না চেয়ে খেলা বন্ধ করলো? ক্যাম্পেও যোগ দেবে না। সবই ষড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে।’
পাপনের ধারণা ক্রিকেটাররা সবাই জেনে-বুঝে এ আন্দোলনে যোগ দেয়নি। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটার যারা আছে তাদের বেশিরভাগই ক্রিকেটকে ভালোবাসে এবং দেশকে ভালোবাসে। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও। আমার বিশ্বাস, অধিকাংশ খেলোয়াড়ই জেনে বুঝে যোগ দেয়নি। হয়তো দু-একজন জড়িত। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।’