ওয়াসার পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু জিহাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বেসরকারি সংস্থা আইকনের কর্মীরা। শিশুটিকে উদ্ধারে পরিচালিত কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণার পর আইকনের কর্মীরা পাইপের ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় তারা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর তারা অভিযোগ করে বলেছেন, শুক্রবার রাতেই শিশুটিকে তারা উদ্ধার করতে পারতেন। কিন্তু, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উদ্ধার উদ্ধার কর্মীরা তাদেরকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে দেয়নি।
খাঁচা আকৃতির বিশেষ একটি যন্ত্র দিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। আইকন কোম্পানির ফারুকের নেতৃত্বে উদ্ধারে ব্যবহৃত বিশেষ যন্ত্রটি তৈরি করেন আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল কাদের চৌধুরী, আব্দুল মজিদ, শরীফুল, রহমত ও লিটুসহ আরো কয়েকজন। শুক্রবার ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় এই খাঁচাটি তৈরি করেন তারা।
তিনটি লোহার রড দিয়ে তৈরি খাঁচায় তারা একটি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। পাইপে ফেলানোর সময় খাঁচার মুখ খোলা থাকে। উপরে উঠানোর সময় সেই খাঁচার মুখটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। সেভাবেই খাঁচার সঙ্গে উঠে আসে জিহাদের লাশ।
এ টিমের সদস্য আব্দুল মজিদ একজন ইলেকট্রিশিয়ান। রানা প্লাজা ধসের পর উদ্ধারকারী টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। তার বাড়ি দিনাজপুর। আর শরীফুল ইসলাম একজন গাড়ি ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে সাড়ে তিন বছরের শিশু জিহাদ খেলতে খেলতে হঠাৎ উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। এরপর তাকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলায় ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।