ঢাকা: শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মতো এই নিষ্পাপ শিশুকেও ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছিল।
জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
আজ শুক্রবার সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে শেখ রাসেলকে হত্যা ঘৃণ্য অপরাধ। সভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে কোনো নারী বা অবলা শিশুকে টার্গেট করা হয় না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় ১০ বছরের অবুঝ শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। এটি ঘৃণ্য অপরাধ।
পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতিলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগসহ বিভিন্ন সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ শেখ রাসেলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পরে বনানীর কবরস্থান মসজিদে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ জন্মদিন উপলক্ষে বিকেলে দাবা, চিত্রাংকন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের উদ্যোগে বিকালে কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করে পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শেষ প্রদীপ নিশেষ করতে চেয়েছিল। শিশুপুত্র শেখ রাসেল তার নিষ্পাপ প্রাণ উৎসর্গ করে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের মধ্যে যে দীপ শিখা জ্বালিয়ে গেছেন, তা আজ লাখো কোটি রাসেল অনুসারীদের মাঝে ছড়িয়ে আছে।
১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
সূত্র : বাসস