কলকাতা: আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)র প্রধান সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলাকে শুক্রবার তার পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই অপসারণের কোনও কারন ব্যাখ্যা করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই আসামে ৫ বছর ধরে এনআরসির কাজ হয়েছে। ১৯৯৫ ব্যাচের আসাম-মেঘালয় ক্যাডারের আইএএস অফিসার হাজেলার তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫ হাজার কর্মী এনআরসি-র কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এনআরসির প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল বিদেশি খুঁজে বের করে তাদের চিহ্নিত করা। তবে গত ৩১ আগষ্ট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ ওঠে এনআরসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ পড়েছে। আসামের বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ভারতের প্রকৃত নাগরিক হওয়া সত্তেও কয়েক লক্ষ হিন্দু নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে প্রকৃত নাগরিকের নাম বাদ পড়ার অভিযোগ এনে মামলা করেছে মুসলিম সংগঠনগুলিও। আদালত সুত্রের খবর,হাজেলার বিরুদ্ধে তথ্য অনিয়মের অভিযোগ জানানো হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আসামের শাসক দল বিজেপিও। সুপ্রিম কোর্ট হাজেলাকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তাকে মধ্যপ্রদেশে বদলি করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। তবে হাজেলার অপসারণ সম্পর্কে সরকারের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল কারণ জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতির কাছে। তবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর উত্তরে জানিয়েছেন, কারণ তো রয়েছেই। কারণ ছাড়া নির্দেশ হয় কি? অবশ্য সেই নির্দেশে কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।